চোখে অ্যালার্জি কারন লক্ষন ও প্রতিকার
চোখ আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। চোখের মাধ্যমে আমরা সবকিছু সুন্দরভাবে দেখতে পায়। চোখ একটি স্পর্শকাতর জায়গা। চোখে কিছু পড়লে বা হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ডলাডলি করলে চোখ লাল হয়ে যায় এবং চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়তে থাকে। এখানে আর একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে চোখে শুধুমাত্র কোন কিছু পরলে বা চোখে হাত দিয়ে ডলাডলি করলেই চোখ লাল হয়ে যায় না এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে না।
চোখে যদি এলার্জি থাকে তাহলে এলার্জির কারণে ও চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়া, চোখে নিয়মিত ময়লা জমা ইত্যাদি আরও নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।আজকে আমরা জানবো চোখে এলার্জি কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
আপনারা যারা চোখে হাত দেওয়া বা চোখে কোন কিছু পড়াকে চোখের সমস্যা বলে মনে করেন তারা আজকে জেনে নিন চোখে এলার্জি কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে এবং চোখে এলার্জি হলে কি কি সমস্যা হয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চোখে এলার্জি কারণ লক্ষণ নয় এর প্রতিকার সম্পর্কে।
আর পড়ুনঃ বজ্রপাত থেকে বাঁচার ২৫টি উপায়
কেন চোখ চুলকায়
আমরা সব সময় চোখ দিয়ে তাকিয়ে থাকি বলে সবকিছু দেখতে পায়। আমাদের চারপাশে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ধুলাবালি ভেসে বেড়ায়। আমাদের চোখের সংস্পর্শে যখন এইসব ব্যাকটেরিয়া ধুলাবালি ফুলের রেনু আসে ঠিক তখনই চুলকাতে আরম্ভ করে। আমরা খালি চোখে কখনো এসব ব্যাকটেরিয়া, ধুলাবালি, ফুলের রেনু দেখতে পায় না।
আমরা যখন চোখ চুলকাতে শুরু করি তখন কিছুক্ষণ পর চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ ফুলে ওঠে, এবং চোখ দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে। প্রথমে চুলকাতে ভালো লাগলে ও যখন চুলকানির মাত্রাটা বেড়ে যায় তখন আমাদের জন্য সেটা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়।
এছাড়া যদি আমাদের শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি জনিত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণের ফলে আমাদের চোখের এলার্জি শুরু হয়ে যায়। চোখের অ্যালার্জি প্রাথমিক লক্ষণ হলো চোখ চুলকানো এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
ছোট শিশুদের চোখে অ্যালার্জি হয়ে করনীয়
অনেক সময় দেখা যায় শিশুদের চোখ হঠাৎ করে লাল হয়ে গিয়েছে এবং তারা চোখ চুলকাচ্ছে। এমনটা হওয়ার কারণ তারা নিজেরাও জানে না। সাধারণত স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের মধ্যে চোখের অ্যালার্জি বেশি দেখা যায়। ছেলে এবং মেয়ে শিশু উভয়ই এই চোখের অ্যালার্জি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
আর এই অ্যালার্জি কারণে মূলত শিশুদেরও চোখ লাল হয় এবং চোখ চুলকায়। অ্যালার্জি সমস্যা দীর্ঘ মেয়াদী হলে শিশুদের চোখের পাওয়ার কমে যেতে পারে। শিশুদের চোখে অ্যালার্জি বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে এরমধ্যেঃ
পারিবারিক এলার্জিঃ পরিবারে যদি কারো অ্যালার্জি থাকে বিশেষ করে বাবা এবং মায়ের যদি চোখের এলার্জি থাকে, শরীরে অ্যালার্জি থাকে তাহলে শিশু ও চোখের এলার্জিতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের জেনেটিক্যালের কারনের ও এলার্জিতে আক্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে এটাকে পারিবারিক অ্যালার্জি বলে। পারিবারিক অ্যালার্জি সমস্যা কমবেশি সবার শরীরে লক্ষ্য করা যায়।
আর পড়ুনঃ মাথার চুল পড়ার কারন ও এর প্রতিকার
ধুলাবালি, ফুলের রেনঃ বাতাসে অসংখ্য ধুলাবালি ফুলের রেনু ইত্যাদি ভেসে বেড়ায় যখন এগুলো চোখের সংস্পর্শে আসে তখন শিশুরা চোখ চুলকাতে আর আরম্ভ করে। অতিরিক্ত চোখ চুলকানোর ফলে চোখে নানা ধরনের ক্ষতি হয়।
জটিলতাঃ শিশুদের চোখে যদি অ্যালার্জি হয় তাহলে সেটা চিকিৎসা করা বেশ জটিল। অ্যালার্জি ওষুধ ব্যবহার করলে ভালো থাকে কিন্তু যখন বন্ধ করে দেয় তখন আবারো অ্যালার্জি শুরু হয়ে যায়। পরবর্তীতে শিশুদের চোখে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনার থাকার কারণে সঠিকভাবে ড্রপ এবং ঔষধ দেওয়া যায় না।
সে কারনে চিকিৎসকরা একই ওষুধ এবং স্টেরয়েড আই ড্রপ ব্যবহার করার দিয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এই ড্রপ ব্যবহার করলে শিশুদের চোখের উপর প্রেসার পরে এবং একপর্যায়ে তাদের অন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। অনেক সময় অতিরিক্ত ড্রপ ব্যবহারের ফলে চোখের গ্লুকোমায় আক্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেজন্য অল্পতেই চোখে অ্যালার্জি কারন লক্ষন ও প্রতিকার প্রকাশ পেলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেয়া উচিত।
আর পড়ুনঃ পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার উপায়
চিকিৎসা পদ্ধতিঃ শিশুদের এবং বয়সন্ধিকালে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে প্রায়ই এই চোখের অ্যালার্জি লক্ষণ প্রকাশ পায়। যদি চোখে অ্যালার্জি হয় তাহলে অতিরিক্ত চিন্তার কোন কারণ নেই। অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যালার্জি আছে এরকম খাওয়া পরিহার করতে হবে। ধুলাবালি রোদ এগুলো থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
বাহিরে বের হলে চশমা ব্যবহার করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ এবং অ্যান্টি হিস্টামিন জাতীয় ঔষধ সময়মতো গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষমতা সম্পন্ন স্টেরয়েড ব্যবহার করা যাবে। নির্দিষ্ট সময়ে বেশি ব্যবহার করতে হলে চক্ষু বিশেষজ্ঞ কিংবা গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আর পড়ুনঃ গরমে পানি ঠাণ্ডা রাখার ১০টি উপায়
বয়স্কদের চোখে অ্যালার্জি
আমাদের বাসায় যাদের দাদা-দাদী নানা-নানী স্বজন রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই বলেন তাদের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, চোখ চুলকাচ্ছে,ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছেন না ইত্যাদি। অ্যালার্জি সমস্যা যেকোনো বয়সে যে কোন ব্যক্তির হতে পারে। পারিবারিক অবস্থান, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি ভেদে এক একজনের শরীরে একেক রকমের মাত্রার অ্যালার্জি থাকে। মূলত এসব সমস্যার জন্যেই চোখের অ্যালার্জি আরো বেশি বেড়ে যায়।
খাবারে এলার্জিঃ যেসব খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে যেমন চিংড়ি মাছ,পুঁইশাক,ডাল,বেগুন,মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি খেলে শরীরে অ্যালার্জি দ্রুত বেড়ে যায় এবং চোখে নানান সমস্যা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যেগুলো খেলে আমাদের চোখের এলার্জি বৃদ্ধি পায় সে সকল খাওয়ার পরিহার করতে হবে।
চশমা ব্যবহার করাঃ বয়স হওয়ার সাথে সাথে মানুষের সক্ষমতা কমতে থাকে। সাথে সাথে চোখেরও পাওয়ার কিছুটা কমে আসে। অনেকে ঠিক মতো দেখতে পান না বলে চশমা ব্যবহার করেন।মূলত চশমা ব্যবহারের ফলে বাতাসে ভেসে বেড়ানো ফুলের রেনু , ধুলাবালি, রোগ জীবাণু ইত্যাদির চোখে সংস্পর্শে আসতে পারে না। এতে করে চোখ অ্যালার্জি হাত থেকে রক্ষা পায়।
জটিলতাঃ দীর্ঘদিন ধরে চোখের অ্যালার্জি ভোগার কারণ একটা সময় চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তখন চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ে, চোখ খচখচ করে, চোখের কোনায় সব সময় ময়লা জমে থাকে। অনেকের চোখের অপারেশন করার কারণেও চোখের জটিলতা আরো বেশি বেড়ে যায়। যদি অল্পতেই চোখে অ্যালার্জি কারন লক্ষন ও প্রতিকার প্রকাশ পায় তাহলে খুব সহজে ভাল করা যায়।
চোখের অ্যালার্জি জনিত কোন সমস্যা হলে নিজে থেকে কোন কিছু করা উচিত না। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে এবং নিয়মিত ড্রপ ব্যবহার করলে চোখের অ্যালার্জি অনেকটাই নির্মূল করা সম্ভব।
আর পড়ুনঃ এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা করার সহজ উপায়
চোখের অ্যালার্জির ড্রপ এবং ওষুধের নাম
চোখের অ্যালার্জির জন্য কিছু ড্রপ এবং ওষুধ রয়েছে যে ড্রপ এবং ওষুধ গুলো ব্যবহার করলে চোখের অ্যালার্জি দূর হয়। চোখ যেহেতু আমাদের শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ড্রপ বা ওষুধ ব্যবহার করা উচিত না। চোখের এলার্জির ড্রপ সচরাচর প্রায় একই হয়। অ্যান্টিহিস্টামিন বডি এবং তরল হিস্টামিন ব্লক করে চোখ দিয়ে পানি পড়া দূর করে এবং চোখের চুলকানি থেকে মুক্তি দিতে কাজ করে। চোখে এলার্জির জন্য ভালো এরূপ বেশ কয়েকটি ড্রপের নাম হল। অ্যালাকোট ডিএএস, এন্টাজল, সেটিরিজাইন (জাইরেটেক), ডিফেনহাইড্রাইমাইন (বেনাড্রিল), ফেক্সোফেনাডাইন (অ্যালেগ্রা), বা লরাটাডিন (আলাভার্ট, ক্লারিটিন) ইত্যাদি।
চোখে অ্যালার্জি এবং চোখ থেকে পানি পড়া বন্ধ করার জন্য এন্টিহিস্টামিন ভালো কাজ করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দিনে দুই থেকে তিনবার ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া অ্যাজেলাস্টাইন হাইড্রোক্লোরাইড (অপ্টিভার), সেটিরিজাইন অপথালমিক (জারভিয়েট), এমেডাস্টাইন ডিফুম্যারেট (ইমাডিন), লেভোকাবাস্টিন (লিভোস্টিন), এবং ওলোপাটাডিন (প্যাটানল) এই ড্রপ গুলো ব্যবহার করলে চোখে অ্যালার্জি কমে আসে।
সাধারন অ্যালার্জি এবং চোখে অ্যালার্জির মধ্যে পার্থক্য
সাধারণ অ্যালার্জি এবং চোখের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক সাধারণ অ্যালার্জি এবং চোখের অ্যালার্জি মধ্যে পার্থক্য গুলো কি কি
সাধারণ অ্যালার্জিঃ
- সাধারণ অ্যালার্জি বলতে শরীরের চুলকানি, চামড়ায় গুটি হওয়া, ফুসকুনি, সারা শরীরে লাল লাল ছোপ ছোপ পড়ে যাওয়া ইত্যাদিকে বোঝায়।
- সাধারণ অ্যালার্জি হলে শরীরের যে অংশে এলার্জি হয় সে অংশে মানুষের চুলকানি হয়।
- শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়।
- শরীরের বিভিন্ন অংশে চামড়া পচে যায়।
- শরীরে ঘা হতে পারে।
- অনেক সময় সুস্থ হয়ে পড়ে।
চোখের অ্যালার্জিঃ
- চোখ চুলকাতে আরম্ভ করে এবং চোখ লাল হয়ে যায়।
- চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
- চোখ ফুলে ওঠে।
- চোখ ব্যথা করে।
- চোখ খচখচ করে। মনে হয় চোখের মধ্যে কি যেন একটা পড়ে আছে।
- চোখেতে ময়লা জমে থাকে।
- আলোর সংস্পর্শে গেলে চোখে ব্যথা অনুভূত হয়।
- চোখ জ্বালাপোড়া করে।
চোখে অ্যালার্জি কারন লক্ষন ও প্রতিকার
অ্যালার্জি বলতে আমরা কমবেশি কাশি সর্দি চুলকানি ফুসকুড়ি শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি বুঝে থাকে। কিন্তু আমাদের চোখেও যে অ্যালার্জি রয়েছে!!!! শুনে অবাক হচ্ছেন?? আসলে এখানে অবাক হওয়ার কিছুই নেই আমাদের শরীরে যে রকম বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয় ঠিক তেমনি আমাদের চোখেরও বেশ কিছু উপসর্গ ররেছে।
এর মধ্যে অ্যালার্জি একটি অন্যতম। এই এলার্জির কারণে চোখ চুলকায়, চোখ ফুলে ওঠে, চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখে ময়লা জমে ইত্যাদি। এখন এই এলার্জি আসে কোথা থেকে??? আর এই অ্যালার্জি চোখ কেনই বা চুলকায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সব কয়টি প্রশ্নের উত্তর। চোখে অ্যালার্জি কারন লক্ষন ও প্রতিকার সম্পর্কে জানবো।
চোখের অ্যালার্জিকে বলা হয় অ্যালার্জির কনজাংটিভাইটিস। আমাদের চোখের সামনের দিকে কালো অংশের অর্থাৎ কর্নিয়ার শেষে দৃশ্যমান যে সাদা স্বচ্ছ ঝিল্লি এবং আবরণ দেখা যায় তাকেই মূলত কনজাংটিভাইটিস বলে। আর অ্যালার্জির সমস্যা মূলত এই স্বচ্ছ ঝিল্লি বা কনজাংটিভাইটিসেই হয়। আর এটা কে বলা হয় কনজাংভাইটিস।
চোখে এলার্জির কারণ
কোন জিনিসের উপর আমাদের শরীর যদি অতি সংবেদনশীল থাকে তাহলে সেই জিনিস বা বস্তুর সংস্পর্শে আসলে দ্রুত শরীর চুলকায়। চামড়া লাল হয়ে যায় এবং অনেক সময় ফুসকনি হয়। অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এরূপ যখন কোন বস্তু চোখের সংস্পর্শে আসে তখনই চোখের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ, গরুর মাংস, ডিম, পালং শাক, ডাল, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়া এসব খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার করা প্রসাধনী সামগ্রী ফুলের রেনু, ধুলাবালি, পোকামাকড় ইত্যাদি যদি চোখের ভিতরে প্রবেশ করে তাহলে চোখে অ্যালার্জি হতে পারে।
চোখে এলার্জির লক্ষন বা উপসর্গঃ
- হঠাৎ করে চোখ লাল হয়ে যায় এবং চোখ চুলকাতে শুরু করে।
- চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়তে থাকে।
- চোখের ভিতরে ঘাম গেলে চোখ জ্বালা পোড়া করে এবং চুলকাতে শুরু করে।
- আলোর সংস্পর্শে গেলে চোখে ব্যথা অনুভূত হয়।
- চোখে কিছু একটা পড়ে আছে বলে মনে হয়।
- চোখের কোণাতে সাদা সুতার মত ময়লা জমে যায়।
- ঘনঘন চোখের পলক পরে।
- চোখ লাফায়।
- চুলকানির ফলের চোখ ফুলে ওঠে।
প্রতিকার
চোখে অ্যালার্জি হলে আমরা অতি সহজে উদ্বিগ্ন হয়ে যায়। সময় মত এবং ভালোমতো ট্রিটমেন্টের কারনে অনেকের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা যায় এবং অনেকে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনেকে ভালো ভালো ডাক্তার দেখিয়ে ভালো কোনো সমাধান পাচ্ছেন না।
আসলে আপনার যদি চলাফেরা এবং খাওয়া দাওয়া এগুলো নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে আপনি যতই ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হন না কেন চোখের অ্যালার্জি ভালো হবে না। সেজন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে চোখে অ্যালার্জি কারন লক্ষন ও প্রতিকার করতে পারবেন।
আর পড়ুনঃ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম
যদি এসব নিয়ম মেনে চলেন তাহলে অ্যালার্জিকে সহজে বিতারিত করতে পারবেন। চোখকে অ্যালার্জি হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যেসব পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন তা হলঃ
- অ্যালার্জি যুক্ত খাবার পরিহার করা।
- বাহিরে বের হওয়ার সময় চশমা ব্যবহার করা। এতে করে বাহিরের ধুলাবালি, রোগ জীবাণু, চোখের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না।
- প্রচন্ড রোদের মধ্যে খালি চোখে বের না হওয়া। প্রোটেকশন স্বরূপ কালো ব্যবহার করা। দিনের মধ্যে অন্তত ৪ থেকে ৫ বার ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধোয়া।
- বেশিক্ষণ মোবাইলে স্ক্রিন টিভি কম্পিউটার বা মনিটরের দিকে তাকিয়ে না থাকা। চেষ্টা করতে হবে এগুলোর সামনে গেলে চোখে চশমা রাখা।
- বেশি রাত না জাগা।
সর্বশেষ
চোখে অ্যালার্জি কারন লক্ষন ও প্রতিকার সম্পর্কে পড়ে যদি আপনার কাছে ভাল লাগে বা একটু হলেও আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করবেন। আপনার শেয়ার করা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে এবং উপকৃত হবে। তাই আর দেরি না করে সবার সাথে পোস্টটি শেয়ার করুন।
চোখে অ্যালার্জি কারন লক্ষন ও প্রতিকার সম্পর্কে পড়ে আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে বা কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সম্পর্কে পড়ে আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে বা কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url