পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার উপায়
আমরা যে খাবার পানি পান করি সে পানিতে অল্প মাত্রায় আর্সেনিক থাকে। মাটির গঠন ভেদে এই আর্সেনিকের পরিমান কোথাও বেশি আবার কোথাও কম। যখনই আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে যায় তখনই ব্যবহারকারীর শরীরে নানান উপসর্গ দেখা দেয়। পান করার আগে পানিতে আর্সেনিক আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।
সে জন্য পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার উপায় জানতে হবে। আপনি যদি পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার উপায় সম্পর্কে জানেন তাহলে যে কোন পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নিন পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার উপায়।
পানিতে আর্সেনিক কেন হয়
আর্সেনিক হল এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান। যা এক সময় চিকিৎসা সহ নানান কাজে ব্যবহার হত। আর্সেনিক যুক্ত পানি দীর্ঘদিন ধরে পান করলে মৃত্যু হওয়ার ও সম্ভাবনা থাকে। আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করলে কি কি ক্ষতি হয় তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু পানিতে আর্সেনিক কি ভাবে এবং কেন হয় সেটা কি আমরা জানি।না জানলে চলুন জেনে নিই।
অগভীর নলকূপের মধ্যে উত্তোলিত পানিতে আর্সেনিক থাকে। ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক কিভাবে হয় তা এখন ও সুস্পষ্ট নয়। ধারনা করা হয় ভূগর্ভস্থ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে ধীরে ধীরে পানির স্তর নিচে নামতে থাকে। এবং ক্রমাগত পানি উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট ফাঁকা জায়গা গুলোতে অক্সিজেন চলাচল শুরু করে।
মাটির নিচে অবস্থিত আর্সেনিকযুক্ত শিলাখন্ডে অক্সিজেন জারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে পানিতে অজৈব আর্সেনিকের অবমুক্তি ঘটে এবং তখন পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া যেসব এলাকায় শিল্পকারখানা রয়েছে, ভারি এবং বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, শিল্প বর্জ্য আছে এরূপ অঞ্চল, অতি খরা, বন্যা, ভূপৃষ্ঠ থেকে বেশি বেশি পানি উত্তোলন, ভূমিতে লবণাক্তের পরিমান বেশি ইত্যাদি ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারনে পানিতে আর্সেনিক হতে পারে।
আর্সেনিক যুক্ত পানি খেলে কি কি অসুখ হয়
পানিতে স্বল্পমাত্রায় আর্সেনিক সব সময়ই থাকে। যখনই পানিতে এই আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে যায় তখনই এই পানি ব্যবহারকারীর শরীরে নানা রকম রোগের উপসর্গ তৈরি করে এবং পরবর্তীতে সেই উপসর্গগুলিকে রোগব্যাধির মারাত্মক পর্যায়ে নিয়ে যায়।
আর্সেনিক যুক্ত পানি খেলে যেসব অসুস্থতার লক্ষণ প্রকাশ পায় তার মধ্যে শরীরে চামড়ার উপরে ছোট ছোট কালো দাগ এবং হাত ও পায়ের চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়া অন্যতম। চামড়ার নিচে ছোট ছোট কালো দাগগুলো একসময় ক্যান্সার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও প্রসাবের থলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অনেক সময় সেখানেও ক্যান্সার হতে পারে।
আর্সেনিক যুক্ত পানি খেলে লিভার ও ফুসফুস আক্রান্ত হয়। আর ফুসফুসের অসুখ থেকে অনেক সময় কাশি, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এই শ্বাসকষ্ট এবং ফুসফুসে অসুখের কারণে শরীর আরো দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরে যদি আর্সেনিকের মাত্রা বেশি হয়ে যায় এবং দীর্ঘদিন ধরে আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করার কারনে মৃত্যুঝুঁকি সম্ভাবনা রয়েছে।
পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার উপায়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি ১লিটার পানিতে ১০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক থাকলে সেই পানি দূষিত বলা হয়। বাংলাদেশের মান অনুযায়ী যদি ১ লিটার পানিতে ৫০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক থাকে তাহলে সে পানিকে আর্সেনিকযুক্ত পানি বলা হয়।
পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার সহজ উপায় হলো পানিতে ফিটকারি মেশানো। সব সময় চেষ্টা করতে হবে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের পানি রান্নার এবং খাবার কাজে ব্যবহার না করা। সেক্ষেত্রে যেসব টিউবওয়েলে আর্সেনিক নাই সেই সব টিউবয়েলের পানি ব্যবহার করতে হবে।
আর যদি আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল না পাওয়া যায় তাহলে নদী বা পুকুর থেকে পানি তুলে এনে সেই পানিতে ফিটকারি মিশিয়ে দুই থেকে তিন ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এরপর পাত্রের উপর থেকে পরিষ্কার পানি পান করতে হবে। পান করার আগে পানি ছেকে নেওয়া ভালো। পানি ফুটালেও আর্সেনিক দূর হয়।
বৃষ্টির পানিতে আর্সেনিক থাকে না সেজন্য বৃষ্টির সময় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখলে তা পরবর্তীতে পান করা যাবে। এছাড়া পানি কে আর্সেনিক মুক্ত করার আরেকটি সহজ উপায় হলো ৩ কলস পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে পরপর তিনটি কলস একটার উপর আরেকটা করে সাজানো হয়।
যে কলস ওপরে থাকবে সে কলসটিতে লোহার কণা এবং মোটা দানার বালু রাখতে হবে। এরপর নিচে যে কলস থাকবে সে পাত্রতে কাঠ কয়লা এবং মিহির দানার বালু রাখতে হবে। এরপর সর্বশেষ নিচের কলসটি খালি রাখতে হবে। যেসব পানিতে আর্সেনিক আছে সেইসব পানি নিয়ে এসে উপরের পাত্রটিতে ঢালতে হবে।
তাহলে পানি লোহার কণা, মোটা দানার বালু, কাঠ কয়লা এবং মিহির দানার বালুর মাধ্যমে পরিশোধিত হয়ে ক্রমান্বয়ে পরিষ্কার, বিশুদ্ধ এবং আর্সেনিকমুক্ত হয়ে নিচের পাত্রে এসে জমা হবে। এই পদ্ধতিতে আর্সেনিকের মাত্রা ৫০ পিপিবি (১ বিলিয়ন=৫০ শতাংশ ) এর নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব। বর্তমানে সরকার বাংলাদেশের যেসব অঞ্চলের পানি আর্সেনিকযুক্ত সে সকল এলাকাতে গভীর নলকূপ বা ডিপ স্থাপনের মাধ্যমে ও এলাকাবাসীকে আর্সেনিক মুক্ত পানি সরবরাহ করছে। পানি ফুটিয়ে পান করলেও আর্সেনিক দূর হয়ে যায়।
আর পড়ুনঃ গরমে সুস্থ থাকার উপায়
পানিতে আর্সেনিক পরীক্ষার উপায়
পানিতে আর্সেনিক পরীক্ষা করার বেশ কয়েকটি নিয়ম আছে এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ নিয়ম গুলো হলোঃ
কুশি পেয়ারা পাতার রসঃ টিউবয়েলের পানিতে বা গভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিক পরীক্ষার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কুশি পেয়ারা পাতা রস। এ পদ্ধতিতে প্রথমে একটি পরিষ্কার স্বচ্ছ গ্লাসে টিউবয়েলের বা ব্যবহারযোগ্য পানি নিতে হবে। এরপর পেয়ারা গাছের নতুন কুশি কয়েকটা ডগা নিয়ে হাতের তালুতে ভালো মতো করে ঘোষে রস বের করতে হবে।
এরপর সেই রসকে গ্লাসের পানির মধ্যে কয়েক ফোটা দিতে হবে।পেয়ারা পাতার রস দেওয়ার পরে যদি পানির রং পরিবর্তন হয় তাহলে পানিতে আর্সেনিক আছে। আর যদি পানির রং কোনোরকম পরিবর্তন না হয় তাহলে সে পানি আর্সেনিকমুক্ত পানি।
মার্স পরীক্ষাঃ মার্স পরীক্ষার ফলেই সর্বপ্রথম আর্সেনিক সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। বর্তমানে বিভিন্নভাবে ফরেনসিক ল্যাবরেটরীতে আর্সেনিক পরীক্ষা করার পদ্ধতি চালু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে জায়মান হাইড্রোজেনের সঙ্গে স্যাম্পলের আর্সেনিকের বিক্রিয়া ঘটিয়ে আর্সাইন উৎপন্ন করা হয়।
এতে করে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় সে গ্যাস এবং উৎপন্ন হাইড্রোজেন পুড়িয়ে একটি শীতল উপরে তুলে ফেলা হয়। এবং এই উপরিতলে আর্সেনিক কে ধাতু হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়। এরপর হাইড্রোজেন পেরোকসাইডে দ্রবীভূত করার পরে রাসানিক পরীক্ষা করে আর্সেনিক সনাক্ত করা হয়।
গুটজাইট পরীক্ষাঃ এই পরীক্ষা অনেকটা মার্স পরীক্ষার মতই। আর্সাইন গ্যাস উৎপাদন করে সেটার সাথে সিলভার নাইট্রেট এর বিক্রিয়া করে ধূসর বা হালকা বাদামি রং উৎপাদনের মাধ্যমে আর্সেনিকের অনুমান এবং মাত্রা নির্ণয় করা হয়।
মারকিউরিক ক্লোরাইড দ্রবনের সাথে বিক্রিয়া করলে লালচে বাদামী বর্ণ সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে মারকিউরিক ব্রোমাইট দ্রবণে নিষিদ্ধ কাগজের সাথে আর্সাইন থেকে প্রাপ্ত হলদে থেকে লাল ও বাদামি বর্ণের উৎপত্তি পরীক্ষা করে আর্সেনিকের মাত্রা মোটামুটি ভাবে নির্ধারণ করা হয়।
আর পড়ুনঃ এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা করার সহজ উপায়
প্রতি লিটার পানিতে ৫০ থেকে ১০০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক পরিমাপ করা যায়। এতকিছু ঝামেলার চাইতে বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট কিট পাওয়া যায়। এই টেস্ট কি দিয়ে সহজে গ্রামে গ্রামে নলকূপ থেকে পানি তুলে সেখানে আর্সেনিকের পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়। মার্ক কিটের সাহায্যে প্রতি লিটার পানিতে ৫০ থেকে ১০০ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত আর্সেনিক পরীক্ষা করা সম্ভব।
মলিবডেনাম ব্লু পরীক্ষাঃ এ পদ্ধতিতে সব আর্সেনিককে as(v) তে রুপান্তরিত করা হয় এবং এতে সাধারণ গাড় নাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে উত্তপ্ত করা হয়। এটা কে আবারও পুনরায় অধিক অ্যামোনিয়াম মলিবডেনাম দিয়ে উত্তপ্ত করে অ্যামোনিয়াম ফসফোমলিবডেটে রুপান্তরিত করা হয়।
এটাকে আবার বিজারক দ্রবণের সাহায্যে বিজারণ করলে আর্সেনিকের মাত্রা অনুযায়ী দ্রবণের মাএা নীল হয়ে যায়। রংয়ের ঘনত্ব আর্সেনিকের পরিমাণের সাথে সমানুপাতিক। যেই যন্ত্রের সাহায্যে সাধারণত রংয়ের তীব্রতা প্রমাণ করা হয় তার নাম হচ্ছে স্পেকটো ফটোমিটার। সিলিকেট এবং ফসফেট মলিবোডেটের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে আর্সেনিক পরীক্ষায় অনেক সময় বিঘ্ন ঘটায়।
আর্সেনিক যুক্ত পানি চেনার উপায়
আমরা যে পানি পান করছি সে পানি আর্সেনিক কিনা সেটা জানা জরুরি। সে জন্য অতি সহজে আর্সেনিক যুক্ত পানি চেনার উপায় গুলো হলঃ
পানির রংঃ আর্সেনিক যুক্ত পানির রঙ স্বাভাবিক আর্সেনিকমুক্ত পানির চাইতে একটু ভিন্ন হয়। পানির রঙ ঘোটাতে হয়। কখনো কখনো পানির রঙ ধূসর আবার কালো হয়। কয়েক ঘণ্টা পানি তুলে রেখে দিলে পানির উপরে তেলের মতো এক প্রকার উজ্জ্বল স্বচ্ছ আস্তরন পড়ে।
পানির স্বাদঃ আর্সেনিক যুক্ত পানির স্বাদ তেতো, টক এবং কটু স্বাদ যুক্ত হতে পারে। পানির স্বাদ আর্সেনিকের মাত্রার উপর নির্ভর করে।
পানির গন্ধঃ পানির গন্ধ ঝাঁজালো হয়। পানি পান করার সময় অন্য রকম একটা গন্ধ নাকে আসে।
যে মাটিতে আর্সেনিকের মাত্রা যেমন সে মাটির পানির বৈশিষ্ট্য ঠিক তেমন। সব মাটির আর্সেনিকযুক্ত পানির স্বাদ, গন্ধ, রঙ এক রকম নাও হতে পারে।
আর পড়ুনঃ বজ্রপাত থেকে বাঁচার ২৫টি উপায়
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম আর্সেনিকের অস্তিত্ত আবিস্কার
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম আর্সেনিকের অস্তিত্ত আবিস্কার করা হয় ১৯৯৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারঘরিয়া মৌজায়। সেখানে প্রথমে কয়েকটি নলকূপে পরীক্ষা চালিয়ে আর্সেনিক শনাক্ত করা হয়। এরপর ২০০১ সালে ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় জরিপ চালিয়ে মোট ৪২% নলকূপে আর্সেনিক শনাক্ত করে। এর মধ্যে বাংলাদেশের আর্সেনিকের মাত্রায় ২৫% এর বেশি নলকূপে আর্সেনিক শনাক্ত করে। দিন দিন এই আর্সেনিকের পরিমান বেড়েই চলেছে।
কত সালে প্রথম আর্সেনিক আবিস্কার হয়
১৯৯৫ সালে ভারতের দীপঙ্কর চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির এ আর্সেনিকের বিষয়টা তার নজরে আসে। এবং পরে তিনি এই আর্সেনিকের বিষয়টা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরেন। এর আগে তিনি ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতে তার গবেষণা কাজ শুরু করেন এবং পরবর্তী সময়ে সেগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ করেন।
এরপর ২০০০ সালে তিনি বাংলাদেশ একটি গবেষণা করেন। সেখানে তিনি আর্সেনিক আক্রান্ত মানুষের চুল, নখ, প্রস্রাব এবং বিভিন্ন ধরনের নমুনা সংগ্রহ করতে থাকেন। এবং এই গবেষণায় গ্রামবাসীর শরীরে সরকারি আর্সেনিকের মাত্রার চাইতে বেশি মাত্রার আর্সেনিকের প্রমান পান।
আর পড়ুনঃ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম
লেখকের মন্তব্য
পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার উপায় সম্পর্কে পড়ে যদি আপনার কাছে ভাল লাগে বা একটু হলেও আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করবেন। আপনার শেয়ার করা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে এবং উপকৃত হবে। তাই আর দেরি না করে সবার সাথে পোস্টটি শেয়ার করুন।
পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার উপায় সম্পর্কে পড়ে আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে বা কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সম্পর্কে পড়ে আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে বা কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url