কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ

কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান?? তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কিডনি ভালো রাখার জন্য কতজন কত কিছুই না করছে। আর দিন দিন কিডনি রোগের আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে চলছে। মানুষ কিডনি ভালো রাখার জন্য কত কিছুই না করছে। আসলে কিডনি হচ্ছে আমাদের মানব শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
কিডনিতে সামান্য একটু সমস্যা হলে সেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক জটিল হয়ে যেতে পারে। এজন্য অনেকেই আমাদের কাছে শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান। কিডনি এমন একটা অঙ্গ যা খালি চোখে দেখা যায় না কিন্তু তারপরও এ অদৃশ্য অঙ্গটিকে ভালো রাখার জন্য কত কিছুই না আমরা করে থাকি।


তাহলে চলুন আপনি আপনার শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ কিডনিকে কিভাবে যত্ন নিবেন এবং কিডনি ভালো রাখার উপায় ও কিডনি রোগের লক্ষণ কি কি রয়েছে । আজ আমরা জেনে নেই কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণসমূহ। 

কিডনি ভাল রাখার খাদ্য

আমরা সারাদিন যেসব খাবার খাই সব খাবারই আমাদের শরীরের ভিতরে যায়। এবং শরীরের কার্যক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে। কিডনি ভাল রাখার জন্য কিছু খাদ্য আছে। আমাদের শরীরে যতগুলো অঙ্গ রয়েছে তার মধ্যে কিডনিও রয়েছে। অন্যান্য অঙ্গের মতো কিডনিও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর এ জন্য কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো আমাদের জানা উচিত। 
আপনারা হয়তো জানেন কিডনি সম্পূর্ণরূপে আমাদের শরীরের ভিতরে ভেসে থাকে।  কিডনিতে প্রায় বেশির ভাগ পানি থাকে। কিডনি ভাল রাখার জন্য কিছু খাদ্যের মধ্যে পানি একটি। কিডনি আমাদের শরীর থেকে দূষিত পানি বের করে দেয়। এমন কিছু কিডনি ভাল রাখার জন্য খাদ্য আছে যা আমাদের কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণসমূহ অনেক সময় খাবারের অবস্থার কারণে প্রকাশ পায়। কিডনি ভালো রাখার খাদ্যগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ


পানি পানঃ পানি কিডনি পরিষ্কার ও ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। আমাদের কিডনিকে ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন পানি পান করার কোন বিকল্প নেই। কেননা কিডনি পানির উপর ভেসে থাকে এবং কিডনিতে বেশিরভাগই পানি। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য বেশি পানি পানের অভ্যাস করুন। কিডনি ভাল রাখার জন্য পানি অন্যতম। 

কিডনিতে যদি পানির অভাব দেখা দেয় বা পানি কম হয় তাহলে আমাদের শরীরে নানান জটিলতা দেখা দেয়। এমন কি অনেক বড় কিছুও হয়ে যেতে পারে। আমাদেরকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৫ লিটার পানি পান করতে হবে। কিডনি আমাদের শরীরে দূষিত পানি ও পদার্থকে মূত্র আকারে বাইরে বের করে দেয়।

কাঁচা সবজি খাওয়াঃ কিডনি ভাল রাখার জন্য কাঁচা সবজি খাওয়া জরুলি। কিডনিকে ভালো রাখতে সবজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে যেগুলো কাঁচায় চিবিয়ে খাওয়া যায়। যেমনঃ শসা, ক্ষিরা, পেঁপে, গাজর ইত্যাদি। এই সবজি গুলোতে বেশিরভাগ পানি থাকে।

কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য বেশি বেশি কাঁচা সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। পানি আমাদের কিডনিকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আমাদের এই কাঁচা সবজি গুলো রাখতে হবে। কাঁচা সবজি খেলে কিডনি অনেক ভালো থাকে।

ক্যানবেরিঃ মূলত ক্যানবেরি হলো এক ধরনের ফল। এ ক্যানবেরি ফল থেকে যে জুস তৈরি হয় তাকে ক্যানবেরি জুস বলে। মূত্রনালী সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য ক্যানবেরি জুস ভূমিকা রাখে। কিডনি ভালো রাখার জন্য ক্যানবেরি ফল এবং জুস খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য ক্যানবেরি ফল খান। 

চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়াঃ কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য পরিমান মতো চর্বিযুক্ত মাছ খান। এক গবেষণায় দেখা গেছে চর্বিযুক্ত মাছ আমাদের কিডনিকে অনেক সময় ভাল রাখতে সাহায্য করে। স্যামন, টুনা, পাঙ্গাস, এসব মাছের চর্বি আমাদের কিডনিকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।

ভারতের ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা যায় ওমেগা থ্রি চর্বিযুক্ত খাবার রক্তে চর্বি মাত্রা ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ আমাদের কিডনি রোগে ঝুঁকি বাড়ায়।

সাইট্রাস্ট ফলঃ লেবু এবং কমলা আমাদের শরীরেে আদ্রতা বজায় রাখে। এসব ফলে উচ্চমাত্রার সাইট্রাস থাকে। যা আমাদের কিডনি থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। টক্সিনের কারণে কিডনিতে পাথর হয়।  কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য পরিমান মতো সাইট্রাস্ট ফল খান।

কিডনি ড্যামেজের লক্ষন

কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো নিয়ে আজ আমরা কথা বলব। কিডনি রোগ এমন একটা রোগ যেটা খুব সহজে আমাদের শরীরে প্রকাশ পায় না। কিডনি খুব নীরবে আমাদের শরীরে ক্ষতি করে। খুব বেশি জটিল না হওয়া পর্যন্ত কিডনি রোগের লক্ষণ বা কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ প্রকাশ পায় না।
গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন লোক কিডনির সমস্যায় ভুগেন। কিডনির শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ড্যামেজ বা নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত এর লক্ষণ প্রকাশ পায় না। সেজন্য কিডনি ড্যামেজ হলে বা কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ প্রকাশ প্রকাশ না পেলে বেশিরভাগ সময় প্রতিরোধ করা যায় না। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ আমরা জানিও না।


আবার জানলেও বুঝতে পারি না। কিডনি রোগের প্রধান সমস্যা হলো প্রাথমিকভাবে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। যখন ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকে তখন ধীরে ধীরে কিডনি রোগের উপসর্গ গুলো দেখা যায়।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণগুলো হলঃ
  • ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া, অনেক সময় প্রসাবে জ্বালাপোড়া করে এবং প্রস্রাবের সময় রক্ত বের হয়।
  • অনেক সময় প্রস্রাব করার সময় ব্যথা অনুভূত হয়।
  • শরীরের ওজন কমে যায়।
  • শরীরের বিভিন্ন অংশ ( মুখ মণ্ডল, হাত, পা ) ইত্যাদি ফুলে যায় এবং পানি জমে।
  • সব সময় শীত শীত লাগা। স্বাভাবিকভাবে জ্বর আছে বলে মনে হয়।
  • শরীরে ক্লান্তি ভাব চলে আসে। কোন কাজেই মন বসে না। সব কাজে দুর্বলতা মনে হয়।
  • মনোযোগ কমে যেতে পারে।
  • হঠাৎ করে যে কোন সময় মাথা ব্যথা হতে পারে।
  • শরীরে বিভিন্ন অংশে চুলকাতে চুলকাতে ফোঁসকার মত হয়ে যায়।
  • বমি বমি ভাব হয়।

কিডনিতে পাথর এবং ইনফেকশন হলে করণীয়

কিডনিতে পাথর বলতে বোঝায় কিডনি বা মূত্রনালীর মধ্যে শক্ত একটি স্ফটিক খনিজ পদার্থের গঠন। কিডনিতে পাথর মূলত চার ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ
  • ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর।
  • ক্যালসিয়াম ফসফেট পাথর।
  • ইউরিক এসিড পাথর।
  • সিস্টাইন পাথর।
কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে আমরা সেটিকে কিডনিতে পাথর এবং ইনফেকশনকে বুঝে থাকি। কিডনিতে পাথর এবং ইনফেকশন হলে আপনাকে প্রতিদিন এমন কিছু খাবার খেতে হবে যে খাবারগুলো খেলে কিডনি ঠান্ডা থাকে এবং কিডনির পাথরকে ধীরে ধীরে ক্ষয় করতে থাকে।


দুটি খাবার হলো শসা, খিরা, পেয়ারা। শসা এবং পেয়ারা আপনাকে প্রতিদিন খেতে হবে। কিডনিতে পাথর এবং ইনফেকশন হলে শসা খাওয়ার কোন বিকল্প নাই। কারণ শসা এবং পেয়ারার মধ্যে যে খনিজ পদার্থ রয়েছে তা কিডনির পাথরকে গলিয়ে দিতে সাহায্য করে। 

অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলা চলে কিডনিতে যদি পাথর হয়ে থাকে তাহলে প্রাথমিকভাবে যদি কোন ব্যক্তি টানা ১-৩ মাস প্রতিদিন ১ থেকে ৩ কেজি করে শসা খেতে পারে তাহলে তার কিডনির পাথরটি গলে যাবে।সেজন্য কিডনিতে পাথর এবং ইনফেকশন হলে নিয়মিত শসা খেতে হবে। শসা খাওয়ার পরও যদি কিডনির পাথরটি না গলে তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ

কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহের মধ্যে কিডনিতে পাথর হওয়ার একটি অন্যতম কারন। আমরা যখন প্রস্রাব করি তখন প্রস্রাবে মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত লবণ এবং দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। আর তাছাড়া আমাদের প্রস্রাবে মূল উপাদান হল ইউরিক এসিড। আর কিডনিতে পাথর তখনই হয় যখন পাথর গঠনকারী লবণ প্রস্রাবে মাধ্যমে নির্গত হয়।
শরীরে যদি পানির পরিমাণ কমে যায় তখন কিডনির নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। প্রসাব যদি অত্যাধিক ঘন হয় তাহলে প্রস্রাবে মধ্যে থাকা দ্রব্য কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করে। তাছাড়া যদি প্রস্রাবে বারবার সংক্রমণ হতে থাকে তখন কিডনিতে পাথর হতে পারে। আমাদের শরীরের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যেগুলো পাথর তৈরি বাধা দেয়।


(ইউরিনারি স্টোন ইনহিবিটরস) কমে গেলে কিডনিতেপাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাইট্রেট, ম্যাগনেশিয়াম, জিংকের পরিমাণ কমে গেলে এগুলো কমে গেলে পাথর হয়। কিডনিতে পাথর হওয়ার কারনে আমাদের শরিরে নানান অসুবিধার সৃষ্টি হও

কিডনিতে কত রকমের পাথর হয়

আজ আমরা জানব কিডনিতে কত রকমের পাথর হয় সেই সম্পর্কে। পাথর সাধারণত কিডনিতে হয় এবং পরবর্তীতে এই পাথরটি ধীরে ধীরে প্রস্রাবের নালী বা মূত্রথলিতে নেমে আসে। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে আমরা বুঝতে পারব আমাদের কিডনিতে পাথর বা অন্য কোন রোগ হয়েছে। কিডনির পাথরকে ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করে বেশ কয়েক ধরনের কিডনিতে পাথর হয় বলে জানা গেছে। কিডনিতে কয়েক ধরনের পাথর হতে পারেঃ
ক্যালসিয়াম অক্সালেটঃ কিডনিতে যতগুলো পাথর হয় তার মধ্যে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি এই পাথরই হয়।

মিক্সডঃ ক্যালসিয়াম অক্সালেট ও ফসফেটের মিশ্রণে কিডনিতে পাথর হয়।

ট্রিপল ফসফেটঃ অ্যামোনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ফসফেট হলে ক্ষারীয় প্রসাবে পাথর হয়।

ইউরিক অ্যাসিড স্টোনঃ সাধারণ এক্সরেতে এই পাথরটিকে দেখা যায় না। যেসব রোগী বাত ব্যথায় বা গাউট রোগে আক্রান্ত হয় তাদের এই পাথর হতে পারে।

কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ

মানুষের শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মধ্যে কিডনি ও একটি অঙ্গ। আমাদের রক্তের সাথে মিশে থাকা দূষিত বর্জ্য বের করে কিডনি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। আমাদের প্রতিদিনের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস কিডনি কে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেলে। কিডনির মূল কাজ হল রক্তের মধ্যে মিশে থাকা বর্জ্য এবং শরীরের মধ্যে দূষিত পদার্থকে মূত্র আকারে বের করে দেওয়া।
অর্থাৎ সহজ কথায় বলা যায় কিডনি আমাদের শরীরের ফিল্টারিং এর মতো কাজ করে। যখন কিডনি খারাপ হয় তখন এই কাজই ব্যাহত হয়। চলুন তাহলে জেনে নেই কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো ঃ

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাঃ আমাদের শরীরের ৮০ ভাগই পানি। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক কমপক্ষে ৩-৭ লিটার পানি পান করতে হয়। কিডনি ভালো রাখার জন্য দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি বা তরল জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। আমরা যখন বাহিরে প্রচুর গরমে এবং রোদের মধ্যে কাজ করি তখন আমাদের শরীল দুর্বল হয়ে যায়।


ঘেমে যাওয়ার কারণে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে পানি বের হয়ে যায়। শরীরের এই পানির ঘাটতি কে পূরণ করার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এবং কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।

ধূমপান বা মদপানের অভ্যাস ত্যাগ করাঃ ধূমপান এবং মদ্যপান এটা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ধূমপান বা মদ্যপানের কারণে কিডনিতে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে বাধা দেয় এবং রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে। এবং কিডনির কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ থেকে বাঁচার জন্য ধূমপান বা মদপানের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি।

অতিরিক্ত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার পরিহার করাঃ মানুষের শরীরের দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি- এর প্রয়োজন হয়। যখনই আমরা এই ভিটামিন সি অতিরিক্ত ভাবে খাওয়া শুরু করি তখনই আমাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আমাদেরকে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি খাওয়া যাবেনা।

ড্রিঙ্কস বা কমল পানীয় ত্যাগ করাঃ ড্রিঙ্কস বা কমল পানীয়তে অ্যালকোহল থাকে। এ অ্যালকোহল যখনই অতিরিক্ত ভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে থাকে তখনই এটি কিডনি, লিভার, পাকস্থলী সহ অন্যান্য অঙ্গে নানান রকম ক্ষতি করে বসে। সেজন্য অতিরিক্ত ড্রিঙ্কস বা কমল পানি খাওয়া যাবে না। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ থেকে বাঁচার জন্য ড্রিঙ্কস বা কমল পানীয় ত্যাগ করা উচিত।

চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়াঃ অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার আমাদের হার্ট, নিভার এবং কিডনির মধ্যে রক্তচরাচল ব্লক করে দেয়। সেজন্য অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।

অতিরিক্ত লবণ না খাওয়াঃ আমাদের এক চা চামচ লবণের চাহিদা থাকলেও যখনই আমরা বেশি পরিমাণে এই লবণ খেয়ে থাকি তখন এই লবণ আমাদের কিডনিকে ক্ষতি করে।

অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন খাবারঃ গরুর মাংস, খাসির মাংস এই খাবারগুলোতে অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন থাকে। এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এ ছাড়া চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, নুডুলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদাম, ছোলা ও অন্যান্য খাবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ থেকে বাঁচার জন্য অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন খাবার ত্যাগ করা জরুরি।

আমাদের কিডনিতে বেশ কিছু দুর্বল টিস্যু আছে যে কোষগুলো এইসব অতিরিক্ত প্রাণীদের খাবার খাওয়ার ফলে ক্ষতি হয়। সেজন্য অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।

স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখাঃ রক্তের চাপ যখন ১৪০/৯০ এর উপরে থাকে তখন কিডনিতে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সবসময়ের জন্য চেষ্টা করতে হবে রক্তচাপ যেন ১৩০/৮০ বা এর কম রাখা। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য নিয়ম মত ব্যায়াম এবং কম লবণ খাওয়া জরুরী।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ যারা ডায়াবেটিস রোগীর তারাই কিন্তু কিডনি রোগে বেশি আক্রান্ত বা কিডনি রোগে ভুগে থাকেন। সেজন্য ডায়াবেটিসের উপর সর্বদা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। নিয়মিত রক্তের সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করতে হবে। যদি রক্তের সুগার বেশি থাকে সে ক্ষেত্রে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ থেকে বাঁচার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

অতিরিক্ত কোন ঔষধ না খাওয়াঃ কমবেশি সব ধরনের ঔষধ আমাদের কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে ব্যথাযুক্ত ঔষধ, যে ঔষধ সেগুলো আমাদের কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। প্রয়োজনের চাইতে অতিরিক্ত নাপা খাওয়া যাবে না। যে কোন ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে।

কিডনি রোগের লক্ষণ

জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যাথা বা অন্যান্য অসুখ হলে আমরা যেরকম ভাবে বুঝতে পারি যে আমাদের অসুখ হয়েছে, ঠিক সেরকম ভাবে আমাদের শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ যদি প্রকাশ পায় তাহলে বুঝতে পারবো আমাদের কিডনি রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এক গবেষণায় পাওয়া তথ্য মতে বাংলাদেশের প্রতি ১ ঘন্টায় প্রায় ৫ জনের বেশি মানুষ এই কিডনি বিকল হয়ে মারা যাচ্ছে তাছাড়া প্রায় আরো ২ কোটির বেশি মানুষ কোন না কোন ভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে আছেন।
অনেকেরই হয়তো জানা নেই অল্পতে এই কিডনি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রস্রাব করার সময় যখন তলপেট জ্বালাপোড়া করে, ঘন ঘন প্রস্রাব হতে থাকে, প্রস্রাব লাল হয়ে যায়, প্রসবের দুর্গন্ধ বের হয়, তলপেটে ব্যথা, কোমরের দুই পাশে ব্যথা, শরীর এবং মুখ হঠাৎ করে ফুলে যাওয়া ইত্যাদিকে প্রাথমিকভাবে কিডনি রোগের লক্ষণ বলে চিহ্নিত করা হয়।


৮০ভাগ লোকের কিডনি নষ্ট হওয়ার কারণ হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, নেফ্রাইটিস এই তিনটি রোগ। কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল সবার পক্ষে এই কিডনি রোগের চিকিৎসা বহন করা সম্ভব হয় না। তবে সচেতন থাকলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ কিডনি বিকল্প প্রতিরোধ করা সম্ভব । কিডনি যে রোগ হয় সে রোগের উপর ভিত্তি করে কিডনিকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করাঃ
  • হঠাৎ বা আকস্মিক কিডনি বিকল (একিউট কিডনি ইনজুরি)।
  • এবং দীর্ঘদিন বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি বিকল। (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ)।
হঠাৎ করে যে কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্রম হারিয়ে ফেলে তখন তাকে হঠাৎ বা আকস্মিক কিডনি বিকল (একিউট কিডনি ইনজুরি) বলে।

দীর্ঘদিন ধরে বা ধীরে ধীরে যদি কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্রম হারিয়ে ফেলতে থাকে তখন তাকে দীর্ঘদিন বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি বিকল (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ) বলে।

যদি মানুষ সচেতন থাকে এবং সনাক্ত করতে পারে তাহলে কিডনি ভালো করা সম্ভব। কিডনি রোগেকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
  • মেডিকেল
  • সার্জিক্যাল
মেডিকেলঃ মেডিকেলে কিডনি রোগের চিকিৎসা সাধারণত নেফ্রোলজিস্টরা ঔষধের মাধ্যমে করে থাকেন। যখন রোগীর কিডনি একেবারে বিকল হয়ে যায় তখন ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় যেটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

সার্জিক্যালঃ সার্জিক্যাল কিডনি রোগ ইউরোলজিস্টরা অপারেশন এন্ডস্কোপি ও লিথিট্রিপসির মাধ্যমে করেন। এই সার্জিক্যাল কিডনি রোগের মধ্যে মূত্রণালিতে পাথর প্রোটেস্টের রোগ মূত্রনালীতে জন্মগত অসুখ মুত্রনালিকার/রেনাল ক্যান্সার ও কিডনি প্রতিস্থাপন এসব রোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

কিডনি ভালো রাখে এমন ১২ টি খাবার

কিডনি ভালো রাখার জন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে খাবারের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ আমরা যা খাই তার সব প্রভাব পড়ে কিডনি সহ সমস্ত শরীরে। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো কিডনির জন্য ক্ষতি করে। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণের জন্য আমাদের খাবার অনেক সময় কারন হয়ে দাঁড়ায়।
আবার এমন কিছু খাবার আছে যে খাবারগুলো খেলে আমাদের কিডনি ভালো থাকে। যেসব খাবার খেলে কিডনি ভালো থাকে সেসব খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো কিছু ফল। যেসব ফল খেলে কিডনিতে পাথর হাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সহ আরো অনেক উপকার মিলবে।


সাইট্রাস জাতীয় ফলঃ কিডনি ভাল রাখে এমন খাবারের মধ্যে লেবু ,কমলা, মালটা, আঙ্গুর ইত্যাদি রয়েছে। এই ধরনের ফলকে সাইট্রাস ফল বলা হয়। এসব ফল যেমন দেখতে এবং খেতে ভালো এর সাথে স্বাস্থ্যের নানা বিধি উপকারিতা রয়েছে। এই সাইটটাস ফলে ভিটামিন সি ভিটামিন বি পটাশিয়াম ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার থাকে। এসব ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে।

আর এই কারণে এসব ফল খেলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের পাশাপাশি কিডনি অনেক ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে অনেকটাই নিরাপদ রাখে। সেজন্য খাবারের তালিকায় নিয়মিত সাইট্রাস জাতীয় ফল রাখুন। কিডনি ভালো রাখার জন্য এই জাতীয় ফল খান। এতে কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে মুক্তি পাবেন।

বেদানাঃ কিডনি ভাল রাখে এমন খাবারের মধ্যে বেদানা একটি। বেদানা খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয় সে সঙ্গে এটি শরীরের রক্তের অভাব পূরণ করে। ত্বক ভালো রাখে। বেদানাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে ,সি ও ভিটামিন বি- সহ ফাইবার থাকে। এর পাশাপাশি পটাশিয়াম, জিংক, ওমেগা ৬, এবং ফ্যাটি এসিডের মত প্রচুর মিনারেল বেদানায় রয়েছে।

কিডনি ভালো রাখার উপায়ের জন্য এই জাতীয় ফল খান। এতে কিডনি রোগ এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে মুক্তি পাবেন। এতে পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনিতে পাথর জমতে বাধা দেয়। সেজন্য নিয়মিত বেদানা খাওয়া উচিত।

বেরি জাতীয় ফলঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বেরি জাতীয় ফলে থাকে। এসব উপকরণ শরীরের প্রদাহ জনিত সমস্যা কমাতে কাজ করে। কিডনি ভাল রাখে এমন খাবারের মধ্যে বেরি ফল অন্যতম। এর কারনে শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।

স্ট্রবেরি মত ফলে অক্সালেটের পরিমাণ কম থাকে এবং এন্টি অক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বেশি থাকে। কিডনি ভালো রাখার উপায়ের জন্য এই জাতীয় ফল খান। এতে কিডনি রোগ এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে মুক্তি পাবেন। এ জাতীয় ফল কিডনির স্বাস্থ্য ও ভালো রাখে।

চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়াঃ এক গবেষণায় দেখা গেছে চর্বিযুক্ত মাছ আমাদের কিডনিকে ভাল রাখতে অনেক সময় সাহায্য করে। কিডনি ভাল রাখতে চর্বিযুক্ত মাছ খান। টুনা, পাঙ্গাস, এসব মাছের চর্বি আমাদের কিডনিকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। ভারতের ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা যায় ওমেগা থ্রি চর্বিযুক্ত খাবার রক্তে চর্বি মাত্রা ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপ আমাদের কিডনি রোগে ঝুঁকি বাড়ায়। কিডনি ভালো রাখার উপায়ের জন্য এই রকম চর্বিযুক্ত মাছ খান। এতে কিডনি রোগ এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে মুক্তি পাবেন।

বেশি বেশি পানি পান করাঃ কিডনি ভাল রাখার জন্য বেশি বেশি পানি পানের কোন বিকল্প নাই। এই কথাটি বলার আর বাকি থাকে না। কারন আমরা সবাই জানি কিডনি ভালো রাখার জন্য সর্বপ্রথম যেইটি প্রয়োজন হয় সেটি হচ্ছে বেশি বেশি পানি পান করা। বলা চলে পানি হচ্ছে কিডনির প্রাণ।

পানি না থাকলে কিডনির যেকোনো সময় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে যেটা আমরা তখন বুঝতে না পারলেও পরবর্তীতে বুঝতে পারি। সেজন্য প্রতিদিন অন্তত বিশুদ্ধ পানি করা উচিত পানি একদিকে দিয়ে আমাদের তৃষ্ণা মিটাই অপরদিকে কিডনি শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিডনি ভালো রাখার জন্য বেশি বেশি পানি পান করার বিকল্প নেই।


পেঁয়াজঃ পেঁয়াজের প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনোয়েড রয়েছে। এই ফ্ল্যাভোনোয়েড রক্তের চর্বি দূর করে। ফলে কিডনি সুস্থ থাকে।এছাড়া পেঁয়াজে পটাশিয়াম, প্রোটিন থাকে যা কিডনির জন্য অনেক উপকারী। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য পেঁয়াজ খান।

রসুনঃ রসুনের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। যেটি আমাদের দেহের প্রদাহ দূর করে। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে হাট ও কিডনি ভালো থাকে। তাছাড়া রসুন ইনফ্লেমেটরি ও কোলেস্টেরল কমাতে বেশ কাজ করে। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন।

আপেলঃ আপেল হলো একটি উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার। দৈনিক কাঁচা আপেল অথবা দৈনিক এক গ্রাস আপেলের জুস কিডনিকে সুস্থ রাখে। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত আপেল খান।

বাঁধাকপিঃ বাঁধাকপিতে ভিটামিন বি৬, সি, কে, ফাইবার অব ফলিক এসিড থাকে। যেটি কিডনির ফাংশন উন্নত করে। কিডনি ভালো রাখার উপায় এবং কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত সবজি হিসাবে বাঁধাকপি খান।

লাল ক্যাপসিকামঃ লাল ক্যাপসিকামে পটাশিয়াম থাকে। যেটি কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ডিমের সাদা অংশঃ ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও অ্যামিনো এসিড বিদ্যামান। যা কিডনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

দারুচিনিঃ রক্তে শর্করা মাত্রা কমাতে খুব ভালো কাজ করে এছাড়া কিডনির ফাংশনের বেশ উন্নতি ঘটায়। 

লেখকের মন্তব্য

আমাদের এই পোস্টটি পরে যদি আপনার কাছে ভাল লাগে বা একটু হলেও আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করবেন। আপনার শেয়ার করা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে এবং উপকৃত হবে। তাই আর দেরি না করে সবার সাথে পোস্টটি শেয়ার করুন।

পোস্টটি পরে আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে বা কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url