মাথার চুল পড়ার কারন ও এর প্রতিকার

 মাথার চুল পড়ার কারন ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান...?? তাহলে আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পরুন। মাথার চুল পড়া আমাদের একটা কমন বিষয়। অনেকেই বলে থাকেন মাথার চুল অকালেই ঝরে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত মাথার চুল পড়া একটা সময় আমাদের জন্য চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়ায়। মাথার চুল পড়ার কারনে আমাদের মাথায় টাক পড়ে যায়। অনেকে দুশ্চিন্তাই পড়ে যান। অনেক চেষ্টা করেও চুল পড়ার কোন কারন খুঁজে পান। 

মাথার চুল পড়ার কারন ও এর প্রতিকার করার জন্য অনেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকেন।
প্রতিদিন ১০-২০ টি চুল পরলে সেটাকে স্বাভাবিক চুল পড়া বলে। কিন্তু এই চুলা সংখ্যা যদি দিন দিন বাড়তেই থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। মাথার চুল আমাদের সৌন্দর্যের একটা অংশ।

আজ আমরা আলোচনা করবো মাথার চুল পড়ার কারন ও এর প্রতিকার সম্পর্কে।সেই সাথে আমরা আর ও আলোচনা করবো চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, চুলের পুষ্টি, এবং চুলের সৌন্দর্য সম্পর্কে। যদি আপনার মাথার চুল নিয়মিত পড়ে যায় তাহলে হতে পারে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্য। চুল পড়া রোধ, চুলের পুষ্টি, বৃদ্ধি, এবং চুলের সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে হলে পুরো পোস্টটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যেতে পারে

বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ মানুষই চুল পড়া সমস্যায় ভুগেন। এই চুল পড়া সমস্যার জন্য শরীরের অভ্যন্তরে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। অনেক সময় শরীরের মধ্যে কিছু ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যেতে পারে। যে ভিটামিনের জন্য চুল পড়ে যায় তার মধ্যে ভিটামিন 'এ', ভিটামিন 'B7', ভিটামিন 'সি' এবং ভিটামিন 'ডি' অন্যতম।

ভিটামিন 'এ': আপনার শরীরে যদি ভিটামিন 'এ' এর অভাব থাকে তাহলে চুল পড়ার লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। ভিটামিনের মাধ্যমে আমাদের শরীরে সকল কোষের বিকাশ সাধিত হয়। আর এই পরিস্থিতিতে এটি চুলের স্বাভাবিক টিস্যু বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এ অবস্থায় যদি আমাদের শরীরে ভিটামিন এ এর অভাব হয় তাহলে আমাদের মাথার চুল পড়ে যেতে পারে।
ভিটামিন 'B7': চুল পড়ার আরেকটি সমস্যা হল ভিটামিন 'B7'। ভিটামিন 'B7' শরীরের লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে। আর এ ভিটামিন 'B7' এর কারনে চুলে রক্ত প্রবাহ ভালো হয় এবং চুলের বৃদ্ধি হয়। আমাদের শরীরের যদি ভিটামিন 'B7' এর ঘাটতি হয় তাহলে চুল পড়ে যায়।
ভিটামিন 'সি': শরীরের ভিটামিন 'সি' এর অভাব থাকলে চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় এবং চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়ে যেতে পারে। এই ভিটামিনের কারণে চুল দ্রুত সাদা হয়ে যায়। ভিটামিন 'সি' এর অভাবের কারণে কোলোজেন নামক প্রোটিনও কমতে শুরু করে এবং এ কারণে চুল পড়া শুরু হয়।

ভিটামিন 'ডি': শরীরে যদি ভিটামিন 'ডি' এর অভাব হয় তাহলে মাথার চুল পড়ে যায়। আমাদের চুলের গোড়ার ফলিকন গুলো খুব ছোট। ভিটামিন 'ডি' এর কারণে চুলের গোড়ার ফলিকনগুলো কমে যায় এবং চুল পড়া শুরু হয়।
শরীরে যদি ভিটামিন 'এ' এর অভাব হয় তাহলে শরীরের লোমগুলো তৈরি হতে পারে না। এর কারণে চুলগুলো পাতলা হতে শুরু করে। এটির কারণ ও চুল পড়তে পারে।

কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে

বয়স যত বাড়ে আমাদের শারীরিক পরিবর্তন ও হতো হয়। এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে চুল পড়া এবং চুল পেকে যাওয়া একটি অন্যতম কারণ। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর চুল পাকা স্বাভাবিক কিন্তু এই চুল পাকা যদি সেই নির্দিষ্ট বয়সের আগে থেকে হয় তাহলে……!!! অকালের চুল পাকার বেশ কয়েকটি কারন রয়েছে। এর মধ্যে ভিটামিনের অভাবে চুল পাকা অন্যতম কারণ।
আবার অনেককেই বলতে শোনা যায় যে মাথা অত্যাধিক গরম হয়ে থাকে মাথা দিয়ে গরম শীষ বের হয়। এই গরম শীষ বা মাথা গরম হওয়ার কারণে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে করেও চুল পেকে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ হলো ভিটামিন 'সি' এর অভাব।

শরীরে যদি অ্যাসকরিক এসিড পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকে তাহলে চুলের গোড়া ধূসর হতে হতে পরবর্তীতে পুরো চুল সাদা হয়ে যায়। এতে করে অনেক সময় চুল পড়েও যেতে পারে। অনেক সময় ভিটামিন 'সি' এর কারণ ছাড়া আরো বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে যেগুলো দ্বারা আমাদের চুল পড়া এবং চুল পেকে যায়।
যেসব খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে সে খাবার গুলো বেশি বেশি করে খাওয়া। যেমনঃ আমলকি, টমেটো, কমলা এবং সবুজ শাকসবজি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন অনেক সময় ভিটামিন 'বি ৬', 'বি ১২' এবং 'ভিটামিন ডি' এর ঘাটতি হলে অকালে চুল ধূসর হয়ে যেতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে ২৫ বছরে কম বয়সী তরুণ তরুণীদের চুল ধূসর হওয়ার জন্য সিরাম ফেরিটিনের মাত্রা কম থাকে।

মেডিকেল নিউজ টুডে ও ডেভেলপমেন্ট জার্নাল নামে আরো একটি প্রতিবেদনে ২০১৫ সালে বলা হয় ভিটামিন বি ৬, বি ১২ এবং ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে চুল পেকে যেতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ট্রাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় ২৫ বছরের কম বয়সী তরুণীদের চুল ধূসর হওয়ার কারণ বিবেচনা আনা হয়। এর মধ্যে সিরাম ফেরিটনের মাত্রা কম। এটি শরীরের আয়রন সঞ্চয় করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন বিঃ চুল শুধুমাত্র ভিটামিন সি এর কারণে পড়ে বিষয়টি এমন না। ভিটামিন বি এর কারনেও কিন্তু চুল পেকে যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যদি আমাদের শরীরে এই ভিটামিন গুলো অভাব থেকে থাকে তাহলে একসময় মাথায় টাক পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি যেমন আমাদের শরীরে হাড় গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি চুলের পুষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এক গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ডি এর কারণে চুল পাকতে শুরু করে। এজন্য নিয়মিত কিছু সময় রোদে আলোর সংস্পর্শে আসতে হবে।

প্রোটিনের ঘাটতিঃ চুলকে লম্বা, ঘন এবং স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করার জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন জাতীয় খাবারে এক ধরনের ক্যারোটিন থাকে যা চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল ভেঙ্গে যেতে পারে।

চুল পড়া বন্ধে কোন ভিটামিন এবং কোন খাবার খাওয়া উচিত

চুল পড়া বন্ধের জন্য নিয়মিত সুষম খাওয়ার খেতে হবে। ডিমের কুসুম, কলিজা, বাদাম, ছোলা, কলা, মিষ্টি আলু, গোল আলু, সবুজ শাকসবজি, মাশরুম, ব্লকলি, দুধ, পনির ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। এসব খাবারের চুলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন থাকে এছাড়াও চুলের জন্য ভিটামিন (এ, বি, সি, ডি, ই) প্রোটিন সহ বেশ কিছু খনিজ আয়রন নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে ।এছাড়া চুল পড়া বন্ধে ই-ক্যাপ ৪০০ এবং ই ক্যাপ ৬০০ এই ক্যাপসুলটি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

মাথার চুল পড়ার কারণ ও এর প্রতিকার

সাধারণ একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দিনে ১০০ টার মধ্যে চুল পড়ে যেতে পারে এবং পরবর্তীতে সেগুলো আবার গজিয়ে যায়। কিশোর কিশোরী বা তরুণ তরুণীদের চুল পড়ার প্রবণতা বেশি থাকে। ১৫-২৫ বা ২৭ এই বয়সে চুল পড়া সম্ভাবনা থাকে বেশি। ১৫-২৫ এই বয়সে ছেলেমেয়েরা চুলের সৌন্দর্যের জন্য বিভিন্ন রকম রং করে থাকে এসব রঙে এক ধরনের শক্তিশালী রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা চুলকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। এবং চুল পড়ে যেতে পারে।

আবার অনেক সময় অনেকে চুল স্ট্রেট করে। চুল স্ট্রেট করার সময় আয়রন বা গরম হিটার থেকে অতিরিক্ত তাপ প্রয়োগ করে চুলকে সোজা এবং ভাঁজ দেয়। এতে করে অনেক চুল ভেঙ্গে যায়। আয়রনের গরম তাপ মাথার উপরে স্তরের ক্ষতি করে। নিয়মমিত স্ট্রেট করার কারনে চামড়ার উপরি ভাগের কেশের গোড়া দুর্বল করে ফেলে। এতে করেও চুল পড়ে।

ভেজা অবস্থায় চুল কখনো স্ট্রেট করা উচিত নয় কারণ ভেজা অবস্থায় চুল এবং চুলের গোড়া উভয় নরম থাকে। চুল পড়ার আরেক কারণ চুলের পুষ্টি। আমাদের নিত্য নতুন খাদ্য গ্রহণের যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি না থাকে তাহলে চুল পড়ে যেতে পারে।
যেভাবে চুল পড়া প্রতিরোধ করবেন

চুল সব সময় খোলামেলা এবং মুক্ত অবস্থায় রাখতে হয়। মাথা ঘেমে যায় এরকম কোন জিনিস মাথায় দেওয়া যাবে না। অনেক সময় হেলমেট দিয়ে গরমে রোদের মধ্যে কাজ করার ফলে মাথা ঘেমে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে এই হেলমেট ব্যবহারের ফলে মাথার চুল পড়ে যায়।

চুল পড়া প্রতিরোধ করার উপায়

ভিটামিন (এ, বি, সি, ডি, ই) এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ধরে চুল আঁচড়ানো এতে করে চুলের গোড়া রক্তচল বেড়ে যাবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে।
চুলের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করা।
গরম পানি দিয়ে গোসল না করা। গরম পানি দিয়ে গোসল করার ফলে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চুল পড়ে যেতে পারে।

সাবান এবং শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল কেন পরে

নিয়মিত সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকে, সিল্কি হয়। কখনো কখনো দেখা যায় যে সাবান ব্যবহারে চুল পড়ছে আর পড়াটাই স্বাভাবিক। কারণ সাবানে প্রচুর পরিমাণে ক্ষার থাকে যা চুলের জন্য ব্যাপক ক্ষতি করে। সাবানের ক্ষার সব চুলের গোড়ার আঠালো অবস্থার সৃষ্টি করে। এতে করে চুল মসৃণ এবং রুক্ষ হয়ে যায়।

এই আঠালো হওয়ার কারণে অনেক সময় চুলে জট বেঁধে যায় এবং সেই জট খুলতে গেলে চুল অনেক পরে। বাজারে বেশ কিছু শ্যাম্পু রয়েছে যেগুলোতে ক্ষার এবং ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। শ্যাম্পুতে যদি তিনটি রাসায়নিক পদার্থ বেশি মাত্রায় থাকে তাহলে চুলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সালফেটঃ সালফেটকে সাধারণত পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করা হয়। সালফেট হচ্ছে একটি সিনোটিকের যৌগ। একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন প্রায় শ্যাম্পুর গায়ে লেখা থাকে সোডিয়াম লরেট সালফেট এবং সোডিয়াম সালফেট নামের দুটি যৌগ। মূলত এ দুটি যৌগের কারণে শ্যাম্পুতে ফেনার সৃষ্টি হয়। নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহারে মাথার স্তর থেকে ধুলা ময়লা পরিষ্কার হলেও চুলের যথেষ্ট ক্ষতি হয়।

প্যারাবেনঃ বাজারে বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন ভেষজ দ্বারা তৈরি। এগুলো দীর্ঘদিন বোতল বন্দি হয়ে থাকার কারণে এগুলোর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক বাসা বাধতে পারে। মূলত শ্যাম্পু যাতে নষ্ট না হয় সে কারণে প্যারাবেল দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। যা চুলের ক্ষতি করে।

সিলিকনঃ চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত আদ্রতা, মসৃণতা ধরে রাখার জন্য একটি রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত মাথায় শ্যাম্পু দিয়ে ঘষার কারণে চুলের ফলিকলের মুখ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এতে মাথার খুশকি উপদ্রব বেড়ে যায়।

মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়

চুল পড়ার সমস্যায় কম বেশি সবাই ভোগেন। কেউ একটু বেশি কেউ বা একটু কম। চুল পড়ে যাদের মাথা পাতলা হয়ে গেছে তারা মাথার চুল টিকিয়ে রাখার জন্য কত চেষ্টাই না করে। আজ আমরা আলোচনা করব মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে। স্বাভাবিক নিয়মে চুল পড়ার পাশাপাশি যদি আবার পুনরায় চুল না গজায় তখন আমাদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এটা পুরোটাই নিজের উপর নির্ভর করে আপনি কি খাচ্ছেন, মাথায় চুলের যত্ন কিভাবে নিচ্ছেন কিনা ইত্যাদি। যত্ন নিতে পারলে সব কিছুই সুন্দর হয়। আমরা যদি ঠিকমত চুলের যত্ন নেই তাহলে আমাদের চুল ও সুন্দর হবে। যেভাবে চুলের যত্ন নিতে হয়।

নিম পাতার ব্যবহারঃ আমাদের শরীরের নানাবিধি সমস্যা সমাধানে নিমপাতা ব্যবহার করে থাকি। শরীরের পাশাপাশি চুলের জন্য নিমপাতা অনেক কার্যকরি। নিমপাতা ভালোমতো বেটে নিয়ে তা পুরো মাথায় লাগাতে হবে। এতে করে চুলের গোড়ার শক্ত এবং মজবুত হবে মাথার খুশকি সহ অন্যান্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকলে তা ধুয়ে চলে যায়। সপ্তাহে ২-৩ দিন এভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

পেঁয়াজের রসঃ কয়েকটি পেঁয়াজ কেটে নিয়ে এগুলো ভালোমতো বেটে নিতে হবে। এরপর সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে সেটি মাথায় লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট পর মাথা হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন এভাবে ব্যবহার করতে হবে এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

অ্যালভেরাঃ চুল পরা বন্ধে এবং চুল গজাতে অ্যালভেরা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। অ্যালোভেরা পাতার ভিতরে নরম পিচ্ছিল স্তরকে বাটিতে নিয়ে ভালো মতো পাতলা করে নিতে হবে। তারপর সেটি মাথায় ভালোমতো মেসেজ করে দিতে হবে। আবার অ্যালোভেরার সাথে হালকা নারিকেল তেল মিশিয়ে মাথায় লাগাতে হবে। মাথায় লাগানোর ৩০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে নিতে হবে। অ্যালভেরা তেল ব্যবহার করলেও চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজায়।

মেথিঃ চুলের যত্নে এবং চুল গজাতে মেথি ভূমিকা পালন করে। একটি বাটিতে সামান্য পরিমাণে মেথি নিতে হবে এবং সেটি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেটা ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করা মেথির সাথে হালকা একটু মধুর সাথে মিশিয়ে মাথার চুলে দিতে হবে। শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মাথায় রেখে দিতে হবে। এরপর শ্যাম্পু ধুয়ে ফেলতে হবে।

কালোজিরা এবং মেথিঃ কালোজিরা এবং মেথি প্রথমে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি গুঁড়া করে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিয়ে তেলের এই মিশ্রণটিকে ফুটাতে হবে। চাইলে এই মিশ্রণটিকে কাচের বোতলেও সংরক্ষণ করে রাখা যায়। সপ্তাহের ২-৩ দিন এই তেল ব্যবহার করতে হবে।

এছাড়াও বাজারে ভেষজ অ্যালভেরা,নারিকেল মেথি কালোজিরা ইত্যাদি নিশ্চিত তেল পাওয়া যায় প্রয়োজনে এই তেল গুলো যেতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

আমাদের এই পোস্টটি পরে যদি আপনার কাছে ভাল লাগে বা একটু হলেও আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করবেন। আপনার শেয়ার করা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে এবং উপকৃত হবে। তাই আর দেরি না করে সবার সাথে পোস্টটি শেয়ার করুন।

পোস্টটি পরে আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে বা কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি অতি দ্রুত শেয়ার করুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানতে সাহায্য করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url