মাথায় হাত দিলেই চুল পড়ে এর কারণ ও প্রতিকার
মাথায় হাত দিলেই চুল পড়ে এর কারণ ও প্রতিকার
আমরা অনেক সময়ে দেখে থাকি যে আমরা যখন মাথায় হাত দিলেই চুল পড়ে। অনেকগুলো চুল উঠে আসে। অনেকে চুল ওঠার ভয়ে মাথায় হাত দিতে চায়না। এই চুল ওঠার কারণ অনেকের কাছে জানা আবার অনেকের কাছে অজানা। স্বাভাবিকভাবে আমরা যদি চুলে জোরে জোরে টান দেয় তাহলে চুল উঠে আসে। আর এ চুল উঠাকে স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। আজ আমরা আলোচনা করবো মাথায় হাত দিলেই চুল পড়ে এর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
কেননা চুলের গোড়া যতই শক্ত হোক না কেন আমরা যদি সেটাকে জোরে জোরে টানতে থাকি তাহলে এক পর্যায়ে সেটি গোড়া থেকে উপড়ে আসবে। এ চুল উঠা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। কিন্তু যখন মাথায় হাত দেওয়া মাত্র চুল পড়ে যায়….!!! তখন তো আমরা চুলে টান দেইনা তাহলে কেন চুল পড়ে….!!!!! চলুন তাহলে আজকে এই চুল পড়ার বিষয়টা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা যাক।
একটু খেয়াল করলে দেখবেন যে কারো মাথার চুল ঘন আবার কারো মাথার চুল বেশ পাতলা। যাদের মাথার চুল অত্যন্ত ঘন তাদের মাথার চুল কিছুটা পড়ে যেতে পারে। মাথায় অত্যাধিক ঘন চুল থাকলে কিছু কিছু চুল দুর্বল হয়ে যায় আর এই দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে চুল পড়ে যেতে পারে।
মাথায় যখন অনেক চুল থাকে তখন স্বাভাবিক ভাবে মাথার পুষ্টির একটু বেশি দরকার হয় এবং মাথার প্রত্যেকটি চুলের জন্য আলো বাতাসের প্রয়োজন হয়। চুল ঘন হওয়ার কারণে এই আলো বাতাস প্রত্যেক চুলের গোরায় পৌঁছাতে পারে না। তখন কিছু কিছু চুল আছে যেগুলো গোড়া থেকে পড়ে যায়। আবার যাদের মাথায় কম চুল রয়েছে মাথায় পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করতে পারে তাদেরও চুল পড়ে।
তাদের এই চুল পড়ার জন্য হরমোন, বংশগত জীন, খাদ্য, পুষ্টি এবং এছাড়া অন্যান্য কিছু কারণ থাকতে পারে। অনেকেই আছেন মাথার চুলে জেল ব্যবহার করেন, রং করেন, হিট দেন। এসব কারণে চুল পড়তে পারে। বাজারে মাথায় কালার করার জন্য যে সব রং পাওয়া যায় সেসব রঙে এসিড থাকে যায়। যা স্বাভাবিকভাবে কমবেশি ক্ষতি করে থাকে।
আর পড়ুনঃ মাথার চুল পড়ার কারন ও এর প্রতিকার
আবার জেল ব্যবহার করে চুলকে বিভিন্ন দিকে ভাজ করে রাখেন। এতে করে চুলের যে স্বাভাবিক গতিপথ সেই গতিপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চুলে ব্যবহৃত জেলে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা চুলকে শক্ত করে রাখে। আর এই রাসায়নিক পদার্থ যখন চুলের গোড়ার সংস্পর্শে আসে তখন কিছু চুল পড়তে পারে।
এছাড়া মাথায় যখন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসে আক্রমণ করে অথবা মাথায় অত্যাধিক পরিমাণে খুশকি হয় তখন এসব ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস এবং খুশকির কারণে চুল পড়তে পারে। চুলে যদি প্রতিনিয়ত শ্যাম্পু, তেল দেওয়া না হয় বা ঠিকমত চুলের পরিচর্যা করা না হয় তাহলে মাথায় ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস বাসা বাঁধে।
আর মাথায় ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের বাসা বাধা মানেই চুলের ক্ষতি, ত্বকের ক্ষতি, এমনকি যেকোনো সময় সব মাথার সম্পূর্ণ চুল পড়ে যেতে পারে। আর সেজন্য আমাদের চুলের যত্ন নিতে হবে চুল আপনার সৌন্দর্যের প্রকাশ করে।
চুল পড়ার প্রতিকার যেভাবে করবেন
- মাথায় যেন ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস,খুশকি এবং উকুনে বাসা বাঁধতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। কারণ একটি চুলকে দুর্বল এবং পড়ে যাওয়ার জন্য এই রোগ গুলো যথেষ্ট।
- সপ্তাহে কমপক্ষে ১ দিন নিমপাতা রস, পেঁয়াজের রস, মেথির তেল, অ্যালোভেরার ইত্যাদি দিতে হবে।টকারণ ছাড়া মাথার চুল জোরে জোরে টানা যাবে না। কারণ জোরে টানলেই মাথার চুল পড়বে।
- মাথার চুলে অপ্রয়োজনীয় কোন কিছু দেওয়া যাবে না। যেমন চুলে হিট, রং, জেল ইত্যাদি। আবার মাথায় সব সময় গরম লেগে থাকে এরকম কোন ক্যাপ বা হেলমেট সব সময় দেওয়া যাবে না।
- সব সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। ঠাণ্ডা পানি চুলের জন্য ভাল। গরম পানি মাথায় দেওয়া যাবে না।
- চুলে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু এবং তেল দিতে হবে।
- বিশেষ করে চুল গজায় এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হয় এরকম তেল ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ নারিকেল তেল, অ্যালোভেরার তেল, কুদুর তেল, নিমের তেল ইত্যাদি।
- পুষ্টিকর খাওয়া গ্রহণ করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
- অতিরিক্ত কোন বিষয় নিয়ে টেনশন করা যাবে না।
- সর্বোপরি চুলকে সুন্দর এবং সুস্বাস্থ্য সিল্কি রাখার জন্য সব সময় নিয়ম মেনে চলতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
আমাদের এই পোস্টটি পরে যদি আপনার কাছে ভাল লাগে বা একটু হলেও আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করবেন। আপনার শেয়ার করা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে এবং উপকৃত হবে। তাই আর দেরি না করে সবার সাথে পোস্টটি শেয়ার করুন।
পোস্টটি পরে আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে বা কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
এই পোস্টটি অতি দ্রুত শেয়ার করুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানতে সাহায্য করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url