সাবানের মূল উপাদান কি?? সাবানের প্রস্তুত প্রণালী

আমাদের নিত্য নতুন জিনিসে সাবানের অনেক প্রয়োজন পড়ে। সাবান আমাদের নানাবিধ কাজে লাগে। অনেকে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করে সাবানের মূল উপাদান কি? সাবানের প্রস্তুত প্রণালী কিভাবে করে। সাবান মূলত ময়লা পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করা হয়। আপনারা জানলে অবাক হবেন সাবানের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্ষার থাকে।
আর এ ক্ষার থাকার কারণে সাবান নোনতা নোনতা লাগে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো সাবানে ক্ষার থাকার কারণে সাবান ময়লা পরিষ্কার করে। আজ আমরা আপনাদের সামনে নতুন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছে। আজ আমরা আলোচনা করব সাবানে মূল উপাদান কি? এবং সাবানের প্রস্তুত প্রণালীসম্পর্কে।

সাবান তৈরির কাঁচামাল গুলো কি কি

সাবান তৈরির প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে মূলত চর্বি। এছাড়াও সাবান তৈরি করার জন্য তেল, নাওয়া, করমজা, সোডিয়াম, হাইড্রোক্সাইড, কস্টিক সোডা, দুধ, নিম, হলুদ, বিভিন্ন মসলা এইসব উপাদান মিশিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং বিভিন্ন প্রসেসের মাধ্যমে সাবান তৈরি করা হয়।

সাবান হচ্ছে মূলত উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের সোডিয়াম লবন বা পটাশিয়াম লবণ।ফ্যাটি এসিডের মধ্যে ( অলিক এসিড, স্টিয়ারিক অ্যাসিড, পামিটিভ অ্যাসিড ) ইত্যাদি রয়েছে। আমরা যেসব সাবানকে পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করি সেগুলো মূলত উদ্ভিজ্জ বা প্রাণিজ তেল এর গারো ক্ষারীয় দ্রবণ থেকে নিষ্কাশন করা হয়।

চর্বি এবং তেলে ফ্যাটি এসিডের ৩ মোল এবং ১ মোল গ্লিসারিনের সাথে সংযুক্ত থাকে। আর এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় সাবানায়ন প্রক্রিয়া। এই ক্ষারীয় দ্রবণকে কখনো আবার সাবানের লাই বলা হয়।

সাবানের মূল উপাদান কি

সাবানের মূল উপাদান মূলত চর্বি। সাবান মূলত চর্বি দিয়েই তৈরি হয়। এই চর্বির সাথে বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ এবং সুগন্ধি মিশিয়ে সাবান বিভিন্ন রঙের এবং বিভিন্ন গন্ধের মোড়কে প্যাকেট করা হয়। এছাড়াও সাবানের মূল উপাদানের মধ্যে রয়েছে লেমন, হলুদ, মধু, ঘি, দুধ, নিমপাতা, নারকেল, বিভিন্ন মসলা ইত্যাদি। সাবান তৈরীর সময় কিছু পরিমাণ সোডিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত করা হয়। সাবান মূলত দুই প্রকারঃ 
  • প্রসাধনী সাবান বা শরীরে ব্যবহার করা সাবান।
  • কাপড় পরিষ্কার করার জন্য সাবান।
এছাড়াও টেক্সটাইল শিল্পে পিচ্ছিল কারক পদার্থ হিসেবে লুব্রিকেট সাবান ব্যবহার করা হয়।

সাবানের প্রস্তুত প্রণালী

সাবান হচ্ছে উচ্চতার ফ্যাটি এসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ। সাবানের প্রস্তুত প্রণালী জন্য প্রথমে দুইটি উপাদান নিতে হয়। ১। তেল বা চর্বি ২। কস্টিক সোডা, তেল, উদ্ভিজ্জ পদার্থ ইত্যাদি। চর্বি হচ্ছে প্রাণী পদার্থ। যা এক ধরনের কঠিন পদার। সাবান এবং গ্লিসারিন তৈরি এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় সাবানায়ন।

সাবানায়ন প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত সাবান এবং গ্লিসারিনের মিশ্রণের মধ্য দিয়ে Nacl যোগ করলে গ্লিসারিল পাত্রের নিচের দিকে অবস্থান করে এবং সাবানের কণাগুলো সোডিয়াম ক্লোরাইডকে ঘিরেপাত্রের উপরের দিকে উঠে আসে একে সোপ বলে।

সোপকে ছেঁকে নিয়ে প্রাপ্ত লাইকে ছাঁচে ফেলে ঢেলে সাবানকে বিভিন্ন আকৃতিতে রূপ দেয়া হয়। সাবান তেল, চর্বি, ক্ষার থেকে প্রস্তুত করা হয়।

সাবান এবং ডিটারজেন্ট এর মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে

সাবান তৈরি সময় সাবানের সাথে গ্লিসারিনো তৈরি হয়। গ্লিসারিনের মিশ্রণের সাথে তেল চর্বি ক্ষার ইত্যাদ থেকে যায়। এই তেল,চর্বি,ক্ষার ইত্যাদি থেকে সাবানকে আলাদা করা হয়। আলাদা করার সময় যদি সাবানের মধ্যে অধিক পরিমাণে তেল বা চর্বি থাকে তখন সাবানের মধ্যে একটা তৈলাক্ত ভাব থেকে যায়।

আর এই তৈলাক্ত সাবান ব্যবহার করলে কোন ফেনা উৎপন্ন করে না। আর এইসব যদি থাকে অর্থাৎ যদি ক্ষার বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে সেই সাবান ব্যবহার করলে আমাদের জন্য ক্ষতি হয়। সেজন্য সাবান তৈরীর সময় সঠিক অনুপাতে তেল চর্বি ক্ষার ব্যবহার করতে হয়। যাতে তেল বা চর্বি এবং ক্ষার সম্পূর্ণ রূপে বিক্রিয়া করতে পারে।

ফ্যাটি এসিড অ্যালকোহল বা গ্লিসারিনের সাথে বিক্রিয়া করে এস্টার উৎপন্ন করে। প্রাণীদেহের ফ্যাট থেকে প্রাপ্ত সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডকে স্টিয়ারিক এসিড বলে। সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডে কার্বন কার্বন একক বন্ধন থাকে কোন ত্রিবন্ধন বা ত্রিবন্ধন থাকে না।

ডিটারজেন্ট সাবানের মতোই এক প্রকার পরিস্কারক দ্রব্য। সাধারণ পাউডারের মতো হয় এবং তরল আকারে ও পাওয়া যায়। মিথাইল অ্যালকোহলের সাথে সালফিউরিক অ্যাসিড বিক্রিয়া করে মিথাইল হাইড্রোজেন সালফেট এবং পানি উৎপন্ন করে। এই লড়াইয়ের হাইড্রোজেন সালফেট এর সাথে সোডিয়াম সালফেট বিক্রিয়া করে সোডিয়াম মিথাইল সালফেট এবং পানি উৎপন্ন করে।

আর এই সোডিয়াম মিথাইল এলফেড ডিটারজেন্ট নামে পরিচিত। ডিটারজেন্টকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য ডিটারজেন্টের মধ্যে বিভিন্ন পদার্থ যোগ করা হয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ডিটারজেন্টকে পাউডারে পরিণত করার জন্য সোডিয়াম সালফেট যোগ করা হয়। 
সাবান ও ডিটারজেন্ট এর মধ্যে পার্থক্যঃ
সাবানঃ
  • সাবান সাবান হচ্ছে দীর্ঘ কার্বন শিকল বিশিষ্ট ফ্যাটি এসিডের সোডিয়াম পটাশিয়াম লবন।
  • সাবান খড় পানিতে ভালো মত কাজ করতে পারে না।
  • পরিষ্কার করার দিক দিয়ে ডিটারজেন্টের চাইতে সাবানের ক্ষমতা কম।
ডিটারজেন্টঃ
  • ডিটারজেন্ট হলো দীর্ঘ ও কার্বন শিকল বিশিষ্ট বেনজিন সালফোনিক এসিডের সোডিয়াম লবন।
  • খর পানিতে ডিটারজেন্ট ভালো কাজ করে।
ডিটারজেন্টের পরিষ্কার ক্ষমতা সাবানের চাইতে অনেক বেশি।

সাবানের ফেনা হওয়ার কারণ

আমাদের শরীরে কোন ময়লা লাগলে সেটি পরিষ্কার করার জন্য আমরা সাবান ব্যবহার করি। সাবানে ফেনা হওয়ার কারণে শরীরে ময়লা দূর হয়। এত কিছু থাকতে আমরা কেন শুধুমাত্র সাবান ই ব্যবহার করি…?? আর শক্ত একটা সাবান কে ময়লা যুক্ত জায়গায় নিয়ে একটু ঘষা দিলে সেখান থেকে সাবানের ফেনা উৎপন্ন হয়…!!! কিভাবে???

আমরা তো শুধুমাত্র সাবানকে ব্যবহার করি। তাহলে সাবানের ফেনা আসে কোথা থেকে। চলুন তাহলে আজ জেনে নেয়া যাক সাবানের ফেনা কিভাবে উৎপন্ন হয়? আর সাবানের ফেনা হওয়ার পিছনেই বাকি রয়েছে। প্রথম যখন সাবান তৈরি শুরু হয় তখন সেটা শুধুমাত্র পশুর শরীরের চর্বি এবং জলপাই তেল, ভেষজ তেল এবং বিভিন্ন সবজির তেলের সাথে অ্যালকাইল লবন মিশিয়ে স্ফটিক আকারে সাবান বানানো হতো।

ইউজিন শেজ্বল নামের একজন বিজ্ঞানী যিনি চর্বির সাথে তেলের উপকরণ মিশিয়ে সাবানের তৈরি করেন। সাবান তৈরি সম্পন্ন সিস্টেমকে বলা হয় সাবানায়ন। আমরা যখন সাবান ব্যবহার করি তখন সাবান এবং পানির সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটে আর এ বিক্রিয়ার ফলে শক্ত সাবান নরম হয়ে গলতে থাকে। একটু একটু করে ক্ষয় হতে থাকে।

পানি, বাতাস এবং সাবানের মধ্যে অবস্থিত সোডিয়াম বা পটাশিয়াম মিশ্রণের ফলে সাবানে বুদবুদের সৃষ্টি হয়। আর এই বুদবুদকে একটু ঘষা দিলেই ফেনা উৎপন্ন হয় এবং ময়লা পরিষ্কার করে। যখন পানিতে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আয়ন বেশি থাকে তখন পানিতে খুব তাড়াতাড়ি ফেনা হয়। এর কারণ হচ্ছে সাবানের মধ্যে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম স্টিয়ারেট ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়ামের সাথে খুব দ্রুত বিক্রিয়া করে।

সাবান যে রঙেরই হোক সাদা ফেনা কেন হয়

আমরা বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন সুগন্ধের সাবান কিনতে পায়। আবার এটাও দেখে থাকি টিভিতে সাবানের বিজ্ঞাপন নিয়ে সুন্দরী মেয়েরা, ছোট ছোট বাচ্চারা হাজির। এখন আপনাদের মাথায় নিশ্চয় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল সাবান এত এত কালার হয় কিন্তু সাবান যে রঙেরই হোক সাদা ফেনা কেন হয়? আর এ ফেনা বা কিভাবে হয়। চলুন তাহলে আজকে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক।

আমরা জানি যে সাবানের মূল উপাদান চর্বি। এই চর্বির সাথে আরও বিভিন্ন উপাদান যোগ করে সবশেষে প্যাকেট করা হয়। সাবান মূলত ফ্যাটি অ্যাসিড বা সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম লবণ। সাবান যখন পানির সংস্পর্শে আসে তখন সেটি নরম হয়ে গলতে শুরু হয়। একেক সাবানের একেক রকম সুগন্ধি যোগ করা হয়।

সাবান যখন গলে যায় তখন ফেনা হয়। কিন্তু এ ফেনা বরাবরই সাদা। উৎপন্ন ফেনা বড় এবং অত্যন্ত স্বচ্ছ হয়। সাবানের ফেনা স্বচ্ছ হওয়ার কারণে আলো খুব তাড়াতাড়ি প্রবেশ করে নানা দিকে প্রতিফলিত হয়। সেজন্যই সাবানের ফেনাকে সাদা দেখায়। ফেনার মধ্য দিয়ে আলো এত দ্রুত যায় যে তার কারণে সব ধরনের রং ভেঙ্গে সাদা ফেনার আকার ধারন করে।

সে জন্য সাবান যে রঙেরই হক না কেন ফেনা সাদা হয়। আমরা যদি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখি তাহলে দেখতে পাবো উৎপন্ন ফেনার উপরে বিভিন্ন রঙের রঙিন আবরণ ছোটাছুটি করছে। এই রঙিন কণাগুলো অনেক হালকা হওয়ায় তা সহজে ফেনার ওপরে ছোটাছুটি করতে পারে। ছোটাছুটি করা রঙিন কণা বা আবরণই হচ্ছে সাবানের বিভিন্ন রঙ। আর এ সব কারনে সাবান যে যে রঙেরই হক না কেন ফেনা সাদা হয়।

সাবানের ফেনায় চোখ জলে কেন

চোখকে রক্ষা করার জন্য চোখ দিয়ে পানি পড়া এটি একটি শারীরিক প্রতিক্রিয়া। আমরা জানি সাবান একটি পদার্থ। আর এটাও জানি সাবান একটি ক্ষারীয়। ক্ষারীয় পদার্থের PH মান 7-14 পর্যন্ত হয়। পর্যায় ভেদে এই মানের তারতম্য ঘটে। চোখ আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চোখ অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি জায়গা।

চোখে কিছু পড়লে অনবরত পানি পড়তে থাকে। চোখের পানির PH মান 4.8 - 7.5। চোখের রেটিনাতে স্পষ্ট কোন চিত্র বা প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করতে পারে সেজন্য আমাদের চোখের কর্নিয়াই উপরিভাগে মসৃণ ও ভিজে থাকে। ভিজে জায়গায় রোগ জীবাণু আক্রমণ করা সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেজন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে চোখে কিছু পড়লে চোখ দিয়ে পানি পড়ে।

চোখে যখন সাবান এবং শ্যাম্পু প্রবেশ করে তখন চোখের পানির সাথে সাবান শ্যাম্পুর ব্যাপ্তয় ঘটে এবং চোখ জ্বালাপোড়া করে চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়তে থাকে। হিস্টামিন নামে এক রাসায়নিক ক্ষরণ শুরু হয় ও চোখ দিয়ে পানি পড়ে।

সাবানের স্বাদ নোনতা কেন

আমরা এর আগে জেনেছি যে সাবান মূলত উচ্চতর ফ্যাটি এসিডের সোডিয়াম লবণ এবং পটাশিয়াম লবণ। একটি পূর্ণ প্রবাহমান বলয়ের মধ্য দিয়ে সাবানের প্রবাহমান চলার শেষ ভাগে সোডিয়াম ক্লোরাইড যোগ করে সাবানকে বের করে নিয়ে আসা হয়।এগুলো ছাড়াও যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয় সেগুলো রাসায়নিক উপকরণ। সোডিয়াম, পটাশিয়াম যেহেতু লবণ আর তাছাড়া এর মধ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপকরণের কারণে সাবানের স্বাদ নোনতা হয়।

অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করলে কি ক্ষতি হয়

সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কোন বিকল্প নাই। সঠিক খাদ্যাভাসের সাথে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এই ব্যাপারটাও জড়িত। সেজন্য নিয়মিত গোসল করা উচিত। আর গোসলের সাথে সাবান ব্যবহার করা এটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। সাবান ব্যবহার করলে শরীরের ময়লা দূর হয়। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস দূর হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হয় তা আজ আমরা জানব।
ত্বকে শুষ্কতার সৃষ্টি হয়ঃ অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করলে ত্বকের যে সাধারণ প্রাকৃতিক তেল থাকে সেটা কমে যেতে পারে। ত্বকের এই প্রাকৃতিক তেল কমে গেলে ত্বক খসখসে ও রুক্ষ হয়ে পড়ে।

ত্বক জ্বালাপোড়া করতে পারেঃ কিছু কিছু সাবানে অত্যাধিক পরিমাণে রং ,ক্ষার, সুগন্ধ ইত্যাদি থাকে। যা আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আবার বেশি সময় ধরে সাবান ব্যবহার করলেন ত্বক জ্বালাপোড়া করে ,লাল লাল ভাব হয়, চুলকানি ফুসকুড়ি হতে পারে অ্যালার্জি থাকলে আরো সমস্যা গুরুতর হয়ে ওঠে।

ভালো ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়ঃ সাবান ব্যবহার করলে যেমন ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য উপকারী এই ভালো ব্যাকটেরিয়া ও নষ্ট হয়।

এছাড়াও সাবানে কিছু পরিমাণ ক্ষার গ্লিসারিন তেল চর্বি ইত্যাদি থেকে যায়। অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারে হাতের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি পুকুর জলাশয় নদী-নালা ইত্যাদিতে কাপড় ধোয়া হলে সাবানের ফেনা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে পানিতে থাকা মাছ এবং বিভিন্ন উদ্ভিদ মারা যায়। এভাবে অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করলে মানুষ এবং পরিবেশের ক্ষতি করে।

লেখকের মন্তব্য

আমাদের এই পোস্টটি পরে যদি আপনার কাছে ভাল লাগে বা একটু হলেও আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করবেন। আপনার শেয়ার করা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে এবং উপকৃত হবে। তাই আর দেরি না করে সবার সাথে পোস্টটি শেয়ার করুন।

পোস্টটি পরে আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে বা কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি অতি দ্রুত শেয়ার করুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানতে সাহায্য করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url